ফ্রয়েডীয় দর্শনমতে মানুষের মৌলিক চাহিদা দুটি। খাদ্যের চাহিদা, যৌন চাহিদা।
সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে মৌলিক চাহিদার বাস্তবিক বিস্তার বেড়ে যায়। পরিবর্তিত হয়। যে সভ্যতা যত এগিয়েছে তার সভ্যদের চাহিদা তত বেড়েছে। সেই সাথে কিছু চাহিদা হয়ে গিয়েছে আবশ্যিক। বস্তুত আবশ্যিক হবার পেছনে কারণ কিন্তু সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। প্রাচীন সভ্যতায় খাবার পেলে মানুষ ভাবত তার চাহিদা পূরণ হয়েছে। ভাবনাটা তখন এ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। আস্তে আস্তে এর সাথে যোগ হতে থাকল বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা। তবে যৌন চাহিদাকে আর কোন সভ্যতাই মৌলিক চাহিদা রূপে প্রচার করতে চাইল না। তা হয়ে গেল ট্যাবু।
বাংলাদেশের যে অবস্থান তাতে এই উন্নয়নশীল দেশের প্রধাণ মৌলিক চাহিদা গুলোর প্রথমেই থাকে শিক্ষা। শিক্ষাই পারে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের কাতার থেকে বের করে আনতে অপরিণত মস্তিষ্কজীবী কিছু মানুষ শিক্ষার ওপর ভ্যাট আরোপ করতে যাচ্ছে। ভ্যাটের ডেফিনেশন এমন যে বিনিময় যোগ্য কোন কিছুর জন্যে অর্থের লেনদেনে সরকারকে অতিরিক্ত কিছু অর্থ প্রদান করতে হবে। প্রতিটা ট্রানজেকশন হবে সরকারের আয়ের উৎস। এখন প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা কি শিক্ষা ক্রয় করছে? উত্তর না হলে কেন তারা ভ্যাট দেবে?
আমার খারাপ লাগে তখনই যখন ভাবি পুরো পৃথিবী তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে আর আমরা পেছনে পড়ছি না শুধু, পিছলে যাচ্ছি অবনতির দিকে। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে লজ্জ্বা পাই যখন দেখি আমাদেরই প্রতিবেশি রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় শিক্ষা, চিকিৎসা বিনামূল্যে পাওয়া যায়। আর আমরা শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর পায়তারা করি!
#শিক্ষায়_ভ্যাট_বন্ধ_কর
মৌলিক অধিকার নিশ্চিত কর
No comments:
Post a Comment