'কান্না আমি পান করে যাই এমন মাতাল কান্না লিখি,,,,'
,,,,,দেশের কী অবস্থান
শিরোনামওয়ালা বাংলা সংবাদ পত্রটা পড়ে আছে অবহেলায়। বেলকনিতে মাঝে মাঝে হাত ধোয় ছেলেটা। ভাত খাবার আগে। রৌদ্রে শুকিয়েছে হাত ধোয়া জল লাগা পত্রিকাটা। বাতাসে নড়ছে, যেন জানান দিচ্ছে বেঁচে আছে বুকে দেশের কতিপয় সাদাকালো আপাত গুরুত্বহীন খবর নিয়ে।
একটা কালো প্যান্ট ঝুলছে দড়ি থেকে, অশ্লীলভাবে। মাজা ভাঙ্গা মজুরের একটা পা ভেঙ্গে ঝুলিয়ে দিলে বোধহয় এর চেয়ে কম অশ্লীল লাগত দেখতে। অশ্লীল কেবল ছেলেটির চোখেই। শ্লীলের শ্রী তো মানুষ ভেদে ভিন্ন হতে পারে। সেবার যেমন পদ্মাপাড়ে ঘুরতে গিয়ে শ্লীল-অশ্লীল একসাথে দেখেছিল সে। কত কিছু নতুন নতুন আবিস্কার করে ছেলেটা, রোজ।
'আকাশ ঘিরে শঙ্খচিলের শরীর,,,,,'
বেলকনির সামনে একটা আমগাছ। জৈষ্ঠ্যে কিছু হলুদ আম ঝুলবে সেখানে? এখন কিছু আম দেখা যায়। সাদা, না সবুজাভ সাদা। ওই পাড়ার রাস্তায় দোকানে বসে অলস সময় কাটায় যে বুড়ো, তার গায়ে শনিবার যে জামা দেখেছিলাম তেমন। আমগাছের ডানা বেয়ে উঠেছে একটা বেসস্টেশন, মোবাইল কোম্পানির। একটা বাড়ি উঠছে নতুন। কিছু রড় দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চুপ। পাখি দুই একটা বসে তাতে। ছেলেটা খেয়াল করে দেখে আর ভাবে পাখিদের কান্না আসে? ওরা কাঁদে? জল পড় চোখ বেয়ে?
'চোখটা এত পোড়ায় কেন,,,,,'
আকাশে একঝাক পাখি। সামনের ছাদে তিনতে বড় বড় সাদা পাইপ। আধুনিক টয়লেটের বিশ্রী গন্ধ আকাশে উড়িয়ে দেয় তারা। পাখিদের ঘ্রাণেন্দ্রীয় নেই? ওরা প্রতিবাদ করে কি? ছেলেটা জানে না। জানতে ইচ্ছে করে তার। পাখিদের কোন দেশ নেই, সমাজ আছে? আন্দোলন করে ওরা?
#২৮এপ্রিল১৬