সন্ধ্যের ঠিক আগে রঙহীন কংক্রিটের পুলটায় এসে বসা জোনাকিপোকা ভাবে কতকথা। ছেলেবেলায় ঠিক এখানে আসতে তাকে কত কাঠখড় পোড়াতে হত, একা নয় বাড়ির লোকের সাথে আসতে হবে। তাও মাসে একবার কি দুবার মোটে। বাড়ির বাইরে বেরনোতে কখনোই না ছিল না। এদিকে আসাটা হয়ে ওঠেনি স্কুলের অবস্থানের কারণে। বাড়ি থেকে সোজা দক্ষিন-পূর্বে স্কুল, প্রাইমারি স্কুল। আর ঠিক তার বিপরীতে উত্তর-পশ্চিমে পুলটা।
এখানে আগে বাঁশের সাঁকো ছিল। সভ্যতার আধুনিকায়ন আর নাগরিক সুযোগ সুবিধের সাথে সেসব ব্যাকডেটেজ জিনিস কি আর থাকে? তাই তো এখন এখানে কংক্রিটের পুল। আর জোনাকিপোকাদের বসার জায়গা স্বরূপ দুইধারে তার রেলিং। ঠিক বনেদি বাড়ির কিছু পালঙ্কের দুপাশে বেঢপ বেড়া যেমন থাকে।
জোনাকিপোকাদের জোনাকিবেলা ছিল ধবধবে সাদা। কুয়াশার গভীরে গেলে যেমন স্বচ্ছতা ঘিরে থাকে চারিদিকে, তেমন স্বচ্ছ-সাদা সেসব বেলা। দু'চারবার এসেছি যে বাবা-কাকা-ঠাকুমা-দাদুর সাথে সেই বাঁশের সাঁকোর দিনগুলিতে। ঠিক এখানে। থরথর করে কেঁপে যেত হাত যেন পায়ে কেউ আধভাঙ্গা ফ্লাইহুইল সহ মোটর চালিয়ে দিয়েছে আর তারই ওয়েভ যাচ্ছে শরীরবেয়ে একদম হাতের গায়ে, হাতের শরীরে, হাতের হৃদপিন্ডে। শিউরে উঠেছি, পড়ে যাব না তো! সহজাত অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় কাঁদোকাঁদো হয়ে যে পাশে থাকত চেপে ধরতাম। ততক্ষণে হয়তো খালের ওপাশে স্কুলে লাঠিখেলা শুরু হয়ে গেছে। এরকম কত জোনাকিবেলা!
এখন তো ইচ্ছে হলেই চলে আসা যায়। কংক্রিটের খাড়া দেওয়ালে বসে চাঁদ দেখা যায়। মান্দার গাছের আড়াল পেরিয়ে সে চাঁদ উকি দেয় জোনাকিপোকার গায়ে। ফোনের এলইডির উজ্জ্বলতা সে আলোকে ম্রিয়মাণ করেই সুখ খোঁজে। কোন প্রাকৃতিক স্বত্বাকে সভ্যতার নব্য হাতিয়াররা কেয়ার করে না। বসে গান শোনা যায়। বিড়িখেকো বাচ্চাদের রংতামাশা দেখা যায়। চুপচাপ থাকা যায়। ইচ্ছে করলেই।
বড় আকাঙ্খার জায়গা পেয়েও আজ জোনাকিপোকারা বাঁশের সাঁকো খোঁজে। একটু থরথরে হাতের হৃদয় দেখা জোনাকিবেলা খোঁজে। মহীনের ঘোড়াগুলির গান ভাজতে ভাজতে মানুষ হবার লড়াই চালিয়ে যেতে চায়,,,,,,,,,,,,,,
১১/০২/২০১৬
এখানে আগে বাঁশের সাঁকো ছিল। সভ্যতার আধুনিকায়ন আর নাগরিক সুযোগ সুবিধের সাথে সেসব ব্যাকডেটেজ জিনিস কি আর থাকে? তাই তো এখন এখানে কংক্রিটের পুল। আর জোনাকিপোকাদের বসার জায়গা স্বরূপ দুইধারে তার রেলিং। ঠিক বনেদি বাড়ির কিছু পালঙ্কের দুপাশে বেঢপ বেড়া যেমন থাকে।
জোনাকিপোকাদের জোনাকিবেলা ছিল ধবধবে সাদা। কুয়াশার গভীরে গেলে যেমন স্বচ্ছতা ঘিরে থাকে চারিদিকে, তেমন স্বচ্ছ-সাদা সেসব বেলা। দু'চারবার এসেছি যে বাবা-কাকা-ঠাকুমা-দাদুর সাথে সেই বাঁশের সাঁকোর দিনগুলিতে। ঠিক এখানে। থরথর করে কেঁপে যেত হাত যেন পায়ে কেউ আধভাঙ্গা ফ্লাইহুইল সহ মোটর চালিয়ে দিয়েছে আর তারই ওয়েভ যাচ্ছে শরীরবেয়ে একদম হাতের গায়ে, হাতের শরীরে, হাতের হৃদপিন্ডে। শিউরে উঠেছি, পড়ে যাব না তো! সহজাত অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় কাঁদোকাঁদো হয়ে যে পাশে থাকত চেপে ধরতাম। ততক্ষণে হয়তো খালের ওপাশে স্কুলে লাঠিখেলা শুরু হয়ে গেছে। এরকম কত জোনাকিবেলা!
এখন তো ইচ্ছে হলেই চলে আসা যায়। কংক্রিটের খাড়া দেওয়ালে বসে চাঁদ দেখা যায়। মান্দার গাছের আড়াল পেরিয়ে সে চাঁদ উকি দেয় জোনাকিপোকার গায়ে। ফোনের এলইডির উজ্জ্বলতা সে আলোকে ম্রিয়মাণ করেই সুখ খোঁজে। কোন প্রাকৃতিক স্বত্বাকে সভ্যতার নব্য হাতিয়াররা কেয়ার করে না। বসে গান শোনা যায়। বিড়িখেকো বাচ্চাদের রংতামাশা দেখা যায়। চুপচাপ থাকা যায়। ইচ্ছে করলেই।
বড় আকাঙ্খার জায়গা পেয়েও আজ জোনাকিপোকারা বাঁশের সাঁকো খোঁজে। একটু থরথরে হাতের হৃদয় দেখা জোনাকিবেলা খোঁজে। মহীনের ঘোড়াগুলির গান ভাজতে ভাজতে মানুষ হবার লড়াই চালিয়ে যেতে চায়,,,,,,,,,,,,,,
১১/০২/২০১৬